বৃদ্ধি ও বিকাশের স্তর
>মানুষ পরিবর্তনশীল এবং এই পরিবর্তন বিভিন্ন দিকে হয়ে থাকে যেমন- দৈহিক পরিবর্তন, মানসিক পরিবর্তন, সামাজিক পরিবর্তণ প্রভৃতি ।
> এবং এই পরিবর্তন কয়েকটি সম্মিলিত প্রক্রিয়ার ফল ,যেগুলি হল- বৃদ্ধি, বিকাশ, পরিমণ ইত্যাদি।
বৃদ্ধি বলতে কি বোঝায়?
সহজ কথায় বৃদ্ধি বলতে শারীরিক আকার ও আয়তনের পরিবর্তনকে বুঝি।
বিকাশ বলতে কি বোঝায়?
বিকাশ বলতে আমরা দৈহিক বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সঙ্গে অন্যান্য বৈশিষ্ট্য গুলির গুণগত পরিবর্তনকে বুঝি।
পরিণমন বলতে কি বোঝায়?
কোন কিছু কাজ করার জন্য শারীরিকভাবে উপযুক্ত স্তরে উপনীত হওয়াকেই পরিণমন বলে।
নিম্নে আমরা এই পরিভাষাগুলো সম্বন্ধে বিশদ জানব:
বৃদ্ধি
বৃদ্ধি সম্পর্কে বিভিন্ন মনোবিদ বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করেছেন সেগুলির মধ্যে কয়েকটি নিম্নরূপ।
>Herbert Sorenson– শরীরের আকার এবং ওজন বেড়ে যায় হল বৃদ্ধি।
>Frenk– শরীর এবং আচরণের যে কোনও দিক থেকে যে পরিবর্তনগুলি ঘটে তাকে বৃদ্ধি বলা হয়।
>Arnold Jones– দেহের উচ্চতা ও ওজন বেড়ে যাওয়াকে বৃদ্ধি বলে।
>Hurlock– Growth is a change in size, in proportion the disappearance of old features and acquisitions of new ones.
>Crow and crow– বৃদ্ধি বলতে কাঠামোগত এবং শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তনকে বুঝায়।
বৃদ্ধির বৈশিষ্ট্য:
বৃদ্ধি ও বিকাশের স্তর
*বৃদ্ধি হল দৈহিক আকার ও আয়তন পরিবর্তনের প্রক্রিয়া
*এটি হল পরিমাণগত পরিবর্তন
*বৃদ্ধি একটা নির্দিষ্ট বয়স পর্যন্ত ঘটে
*এটি একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর থেমে যায়.।
*বৃদ্ধি হল পরিবেশ ও বংশগতির সমন্বিত ফল
*এটি একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া তবে ক্রম অনুসারে চলে না। যেমন,কখনো আমাদের শরীর লম্বায় বৃদ্ধি পায় তো কখনো আবার ওজন বৃদ্ধি পায়।
*বৃদ্ধি হল জটিল ও সংবেদনশীল প্রক্রিয়া
*খাদ্য এবং পুষ্টির ওপর নির্ভরশীল প্রক্রিয়া
*এটি মূলত স্বতঃস্ফূর্ত প্রক্রিয়া হলেও অনুশীলনের প্রভাব দেখা যায় । যেমন হাতের পেশির ব্যায়াম করলে হাতের পেশির বৃদ্ধি হবে পায়ের পেশির উপর এর প্রভাব নেই।
*বৃদ্ধি কেবলমাত্র দৈহিক বা শারীরিক দিকের মধ্যেই সীমাবদ্ধ
*এটি পরিমাপ যোগ্য
*বৃদ্ধি হল বিকাশের কারণ অর্থাৎ বৃদ্ধি হয় বলেই বিকাশ সাধন হয়। তবে বৃদ্ধি হলে বিকাশ হতেও পারে আবার নাও হতে পারে। যেমন কোন ব্যক্তি যদি মোটা হয়ে যায় তাহলে তার বৃদ্ধি হয় কিন্তু এটা নয় যে সে মোটা হয়েছে জন্য তার ক্রিয়াগত বিকাশ হয়েছে।
*বিকাশের একটি অংশ হলো বৃদ্ধি
*মূলত দৈহিক বিকাশকে বৃদ্ধি বলা হয়
*শিশুর বৃদ্ধি মাতৃজঠর থেকেই শুরু হয়
*বৃদ্ধি ব্যক্তি নির্ভর প্রক্রিয়া অর্থাৎ প্রত্যেক শিশুর বৃদ্ধি তার নিজস্ব সত্তা অনুসারেই হয়ে থাকে।
*বৃদ্ধির ক্ষেত্রে লিঙ্গ কত পার্থক্য দেখা যায় অর্থাৎ ছেলে এবং মেয়েদের বৃদ্ধির ক্ষেত্রে পার্থক্য পরিলক্ষিত হয়।
>বিভিন্ন বয়সে ব্যক্তির হার বিভিন্ন- এই বিষয়ে H V Meredith শিশুর বৃদ্ধির হারের উপর অধ্যায়ন করে কিছু সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। তার অধ্যায়নের নাম- ‘লম্ব অধ্যায়ন পদ্ধতি’(Longitudinal study)। তার সিদ্ধান্তগুলো নিমরূপ:
১. জন্ম থেকে ২-২½ বছর পর্যন্ত বৃদ্ধির হার খুব বেশি।
২. ২½ বছর থেকে বয়:সন্ধিক্ষণের ২ বছর পূর্ব পর্যন্ত বৃদ্ধির হার হ্রাস পায়।
৩. বয়সন্ধিকালের কিছু পূর্ব থেকেই বৃদ্ধির হার পুনরায় দ্রুত ঘটে
৪. বয়:সন্ধিখানের পরে ধারাবাহিকভাবে বৃদ্ধির হার হ্রাস পায়।
বিকাশ
বৃদ্ধি ও বিকাশের স্তর
মানুষের দৈহিক, সামাজিক, মানসিক ও প্রাক্ষোভিক দিকের পরিপক্কতাকেই বিকাশ বলে।
> 1989 সালের 20 নভেম্বর, UNO শিশু বিকাশ এর গুরুত্ব উপলব্ধি করে শিশু অধিকার বিষয়ে কনভেনশন আহ্বান করে।
>১৯৯২ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় এই জাতীয় টি কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়।
>CRC(Convention on the Rights of the Child) এর ২৮ নং এবং ২৯ নং ধারায় শিশুর শিক্ষার অধিকার সম্পর্কে কয়েকটি নির্দেশ দেওয়া হয়।
>CRC এর মতে ১৮ বছর বয়সের নিচে থাকা সকল মানুষকেই শিশু হিসেবে গণ্য করা হয়।
>ভারতবর্ষের সংবিধানের ৪৫ নং ধারা অনুযায়ী ১৪ বছর বয়সের নিচে থাকা প্রত্যেকটি মানুষকে শিশু বলে।
বিকাশের ধারণা সম্পর্কে বিভিন্ন মনোবিদ বিভিন্ন রকমের মন্তব্য দিয়েছেন। যেগুলি নিম্নরূপ –
>স্কিনার– বিকাশ হল ক্রমানুসারে এবং ধীরগতিতে চলা একটি প্রক্রিয়া।
>এরিকসন- বিকাশ হল ব্যক্তির জৈবিক চাহিদা এবং দৈনন্দিন জীবনের সামাজিক শক্তি সমুহের মিথস্ক্রিয়ার ফল যা সমগ্র জীবনব্যাপি প্রভাব বিস্তার করে।
>হারলক– বিকাশ হল প্রগতিশীল এবং ধারাবাহিক এক পরিবর্তনের ধারা যা পরিণমন এবং অভিজ্ঞতার ফলে সংঘটিত হয়।
>পিয়াজে– পিয়াজের মতে চারটি মৌলিক উপাদানের সংশ্লেষনের ফলে বিকাশ হয়। এই চারটি উপাদান- পরিণমণ, অভিজ্ঞতা, সামাজিক সঞ্চালন ক্ষমতা, সমতা বা সাম্য আনয়ন।
>বৃদ্ধি ও বিকাশ পরস্পর সম্পর্কযুক্ত।
বিকাশের নীতি
বৃদ্ধি ও বিকাশেও স্তর
১. বিকাশ হল নিরবিচ্ছিন্ন অবিরাম জীবনব্যাপী পরিবর্তনের প্রক্রিয়া । বিকাশ জন্মের পর থেকে শুরু হয়ে চলে মৃত্যুর পূর্ব মুহূর্ত পর্যন্ত।
২. বিকাশ কেবল পর্যবেক্ষণ করা যায় কিন্তু পরিমাপ করা যায় না।
৩. বিকাশ হল শিশুর দৈহিক মানসিক সামাজিক প্রগতি সমস্ত দিকে সামগ্রিক পরিবর্তনের প্রক্রিয়া
৪. বিকাশ হল পরিবেশের প্রভাব ও অভিজ্ঞতার ফল। সহজত গুণাবলী ও পরিবেশের পারস্পরিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার মাধ্যমে শিশুর বিকাশ ঘটে।
৫.bayer এর মতে আচরণের পরিবর্তন বা শিখনের ফলে বিকাশ ঘটে। পরিবেশের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার ফলে শিশুকে শিখুন অভিজ্ঞতা গুলি অর্জন করে তারাই সমন্বয় হলে বিকাশ।
৬. পিয়াজের মতে বিকাশে চারটি প্রক্রিয়া আছে এগুলি হল -পরিণমন ,অভিজ্ঞতা, মানসিক যোগাযোগ এবং ভারসাম্যকরন। এই চারটি প্রক্রিয়ার সংশ্লেষণে শিশুর বিকাশ সম্পন্ন হয়।
৭. বিকাশ কেন্দ্র থেকে পরিধির দিকে ঘটে। প্রথমে সে কোন কিছু ধরার জন্য সমগ্র হাত ব্যবহার করে পরবর্তীতে সে আঙ্গুল ব্যবহার করতে শেখে। এই প্রক্রিয়াটাকে বলা হয় প্রক্সিমোডিসটাল (Proximodistal development)
৮. বিকাশ উপর থেকে শুরু হয়ে নিচের দিকে ঘটে। অর্থাৎ প্রথমে মস্তিষ্ক পরিপক্ক হয় তারপর ঘাড়, হাত, পা এগুলোর বিকাশ হয়। এই প্রক্রিয়াটাকে বলা হয় শেফালোকয়ডাল (chephacoidal development).
৯. বিকাশে লিঙ্গগত পার্থক্য দেখা যায়। ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের পরিপক্কতা আগে আসে।
১০. ব্যক্তির বিভিন্ন বিকাশ গুলি পারস্পারিক সম্পর্কযুক্ত।
১১. বিকাশ সামগ্রিক । মানসিক বিকাশের চর্চা করলে তার প্রতিফলন সামাজিক, প্রাক্ষোভিক বিকাশের উপরে দেখা যায়।
১২. বিকাশের ফলে যে চলন ঘটে তার ধারাবাহিকতা বিশ্বের সব কিছু ক্ষেত্রে দেখা যায় । যেমন প্রথম হামাগুড়ি, তারপর দাঁড়ানো, হাটা প্রভৃতি।
১৩. বিকাশ একটি ব্যক্তিগত প্রক্রিয়া। ব্যক্তিবিশেষে বিকাশের হার বিভিন্ন রকম হয়।
১৪. বিকাশ হল পরিণমনের ফল। মনোবিজ্ঞানী আর্নল্ড জোনসের মতে বিকাশের উপর দৈহিক পরিবর্তনের প্রভাব দেখা যায়। শৈশব কাল থেকে বয়:সন্ধিক্ষণ পর্যন্ত ব্যক্তির দৈহিক পরিবর্তন তার জিনের দ্বারাই নিয়ন্ত্রিত হয়। এই স্বতঃস্ফূর্ত পরিবর্তন পরিণমন ঘটায় যা বিকাশ সম্ভব করে তোলে।
১৫. বিকাশ সাধারণ থেকে বিশেষের দিকে অগ্রসর হয় অর্থাৎ শিশু প্রথমে এলোমেলোভাবে অঙ্গ সঞ্চালন করে পরবর্তীকালে প্রতিটি অঙ্গের বিশেষীকরণ হয়।
বিকাশের শর্ত- বংশগতি, পরিবেশ, পুষ্টি, জাতি, বন্ধুদল।
পরিণমন
পরিণমনের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বিভিন্ন মনোবিদ বিভিন্ন রকমের মন্তব্য করেছেন। যেগুলি হল-
কোলেসনিক– সহজাত সম্ভাবনা গুলির স্বাভাবিক বিকাশের ফলে ব্যক্তির গুণগত ও পরিমাণগত পরিবর্তনকেই পরিণমন বলে। এক কথায় সহজাত সম্ভাবনা গুলির বাস্তবায়নই হলো পরিণমন।
ম্যাকগিয়ক – বয়সের সঙ্গে সঙ্গে অনুশীলন ও অভিজ্ঞতার পরিবর্তে প্রধানত জৈবিক কারণে আচরণের পরিবর্তনকেই পরিণমন বলে।
স্কিনার– পরিনমন হলো এক ধরনের বিকাশ যা পরিবেশ ও অবস্থার ব্যাপক তারতম ঘটলেও মোটামুটি ভাবে নিয়মিত সংঘটিত হয়।
গেসেল- স্বকীয় ও অন্তর্জাত বৃদ্ধিই হলো পরিনমন।
পরিণমনের বৈশিষ্ট্য:
১. পরিণমন হল বিকাশের একটি প্রক্রিয়া । যেমন পরিণমনের ফলে হৃদপিণ্ড, পাকস্থলীর আয়তন বৃদ্ধি পায় এবং কর্মক্ষমতার বৃদ্ধি ঘটে। হাত-পায়ের পেশী সবল হয় এবং কার্যকারিতা বৃদ্ধি পায় ইত্যাদি।
২. পরিনমন একটি স্বাভাবিক প্রক্রিয়া। অসুস্থতা পরিণমনে বাঁধার সৃষ্টি করে। যেমন পোলিও রোগাক্রান্ত শিশুরা স্বাভাবিক পরিণমনের অভাবে ঠিকমতো হাঁটতে পারে না।
৩. পরিনমন অনুশীলন নির্ভর নয়। শিখন ও পরিণমনের মূল পার্থক্য এখানেই বলা যায়। শিখনে অনুশীলনের প্রয়োজন আছে কিন্তু পরিনমনে অনুশীলনের প্রয়োজন নেই।
৪.শিশু বা সমাজের চাহিদা পরিনমনকে নিয়ন্ত্রণ করে না তবে পরিণমন শিশুর চাহিদার উপর প্রভাব বিস্তার করে।
৫. পরিনমন ব্যক্তির শারীরিক ক্ষমতা অর্জনে বিশেষভাবে সাহায্য করে, পরিণমনের ফলে ব্যক্তির শারীরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
৬. পরিনমন প্রক্রিয়ার জন্য ব্যক্তির আত্মসক্রিয়তা অপরিহার্য নয়, প্রকৃতির নিয়মে ব্যক্তির অজান্তে পরিণমন ঘটে। তবে ব্যক্তির সক্রিয়তা অনেক ক্ষেত্রে পরিণমনকে ত্বরান্বিত করে।
৭. পরিনমন সাময়িক। তাই পরিনমনকে জীবনব্যাপী প্রক্রিয়া বলা যায় না।
বিকাশের স্তর | আনুমানিক সময়সীমা | বিকাশের দিক |
---|---|---|
প্রাক জন্ম (pre natal) | নিষেক থেকে 240 দিন | প্রধানত শারীরিক ও সঞ্চালনমূলক |
শৈশব | প্রথম 2 বছর | শারীরিক ও সঞ্চালনমূলক |
প্রথম বাল্যকাল | 2 থেকে 6 বছর | জ্ঞানমূলক ভাষা প্রক্ষক নৈতিক সামাজিক ও ব্যক্তিত্বের বিকাশ। |
উত্তর বাল্যকাল | 6 থেকে 11 বছর | একই |
কৈশোর | 11/12-20 বছর | একই |
প্রাপ্তবয়স্ক | 20 বছর থেকে 60 বছর পর্যন্ত বা বলা যেতে পারে Maturity থেকে ব্যক্তি যতদিন পর্যন্ত সন্তান উৎপাদন করতে পারে। | একই |
বৃদ্ধ | 61 বছর থেকে আমৃত্যু। | কর্মক্ষমতা ক্রমশ হ্রাস পায়। স্মৃতিভ্রংশ, স্বাস্থ্যহীনতা এবং দুর্বল ইত্যাদি। |
রুশোর মতে বিকাশের স্তর ৪ টি-এমিল গ্রন্থে চারটি পর্যায়ের ভাগ করেছেন।
১. শৈশবকাল– জন্ম থেকে ৫ বছর
২. বাল্যকাল- ৫ থেকে ১২ বছর
৩. প্রাক কৈশরকাল- ১২ থেকে ১৫ বছর।
৪. কৈশরকাল– ১৫ থেকে ২০ বছর।
পিকুনাস শিশুর জীবন বিকাশে – ১০ টি ভাগের কথা বলেছেন।.
১.প্রাক ভূমিষ্ট– গর্ভ থেকে ভূমিষ্ট পর্যন্ত।
২.সদ্যজাত– জন্ম থেকে প্রথম ৪ সপ্তাহ
৩.প্রারম্ভিক শৈশব– ১ মাস থেকে ১½ বছর।
৪.প্রান্তীয় শৈশব– ১½ বছর থেকে ২½ বছর
৫. প্রারম্ভিক বাল্যকাল– ২½ বছর থেকে ৫ বছর
৬. মধ্যবাল্যকাল– ৫ থেকে ৯ বছর
৭. প্রান্তীয় বাল্য কাল– ৯ বছর থেকে ১২ বছর।
৮. যৌবনাগম/ বয়ঃসন্ধিকাল– ১২ বছর থেকে ২১ বছর
৯. প্রাপ্তবয়স্ক– ২১ বছর থেকে ৭০ বছর
১০. বার্ধক্য– ৭০ বছরের পরের জীবন
আর্নেষ্ট জোনস- ৪ টি
১. শৈশবকাল– জন্ম থেকে ৫ বছর
২. বাল্যকাল– ৫ বছর থেকে ১২ বছর
৩. যৌবন/ কিশোর– ১২ থেকে ১৮ বছর।
৪. প্রাপ্ত বয়স্ককাল– ১৮ থেকে মৃত্যু
বৃদ্ধি ও বিকাশের স্তর
To get All child studies notes , click here