কোচবিহার নামের উৎপত্তি
কোচবিহার জেলার পরিচয়
> ১৫০০-১৫৯৯ সালের মধ্যে কোচবিহার রাজ্য শক্তিশালী রাজ্য রুপে আত্মপ্রকাশ ঘটে।
> এই জেলা কখনও কামতা, কোচ, কোচক, কোচবিহার, কোচহাজো, রাজোয়ারা কোচবিহার প্রভৃতি নামে পরিচিত ছিল।
> কোচবিহার রাজ্যের নাম কোচবিহার হয় লক্ষ্মীনারায়ণের রাজত্বকালে থেকে।
> শুরুতে ইংরেজি বানান ছিল KUCHBIHAR, পরবর্তীতে হয় COOCHBEHAR.
> ঐতিহাসিক ডক্টর রমেশ চন্দ্রের মতে কোচজাতি এই রাজ্যে বসতি স্থাপন করেছিল বলেই এই রাজ্যের নাম কোচবিহার। আর এটাই প্রচলিত মত।
কোচবিহার জেলার সংক্ষিপ্ত বিবরণ
> আসাম এবং বাংলাদেশের সিলেট নিয়ে কামরূপ রাজ্য গঠিত ছিল।
>কামরূপ রাজের আরেক নাম ছিল প্রাগজ্যোতিষ।
> কামরূপ রাজ্যের পশ্চিমাংশই পরবর্তীকালে কামতাপুর নামে পরিচিত লাভ করে।
>হর্ষবর্ধনের সমসাময়িক কামরূপ রাজ্যের শ্রেষ্ঠ রাজা ছিলেন ভাস্কর বর্মন।
> কামতাপুরের তিনজন রাজা ছিলেন। – নীল ধ্বজ চক্রধ্বজ এবং নিলাম্বর। এরা ছিলেন খেন রাজবংশের। এরা কান্তেশ্বর নামেও পরিচিত ছিল।
> এরা কামতেশ্বরী দেবীর পূজা করতেন।
> কান্তেশ্বর রাজার রাজধানী ছিল গোসানীমারী।
>নীলাম্বরের সময়ে হোসেন শাহ একবার গোসানীমারী দখল করেন।
> ১৭৭৩, ৫ই এপ্রিল কোচবিহারের সার্বভৌমত্ব পুরোপুরি লুপ্ত হয়ে ইংরেজ আধিপত্য কায়েম হয়।
>১৯৪৮, ২৮শে আগষ্ট, কোচবিহার চুক্তি সাপেক্ষে ভারত ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত হয়।
>১৯৫০, ১লা জানুয়ারি, কোচবিহার পশ্চিমবঙ্গের জেলা রূপে স্বীকৃতি লাভ করে।। ওই সময় মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন ডঃ বিধান চন্দ্র রায়।
কোচবিহার জেলার অবস্থান
কোচবিহার জেলার পরিচয়
এটি পশ্চিমবঙ্গের ১৩ তম জেলা। উত্তরবঙ্গে অবস্থিত।
>এর সদর কোচবিহার
> এর উত্তরে আলিপুরদুয়ার , উত্তর-পশ্চিমে জলপাইগুড়ি জেলা, দক্ষিণে বাংলাদেশ ও পূর্বে ধুবড়ি জেলা অবস্থিত।
কোচবিহারের প্রধান নদী
তোরসা নদী
- এটি চুম্বী বা আমোছু নদী নামেও পরিচিত।
- এটি চুম্বী নামে উৎপত্তি হয়েছে
- ভুটানে এই নদীর নাম আমোছু।
- জলপাইগুড়ি,কোচবিহার এবং বাংলাদেশে এই নদীর নাম তোর্ষা।
- তোর্ষা শব্দের অর্থ রুষ্ট জলপ্রবাহ।
জলঢাকা
- উৎপত্তিস্থল থেকে মাথাভাঙ্গা পর্যন্ত এই নদীর নাম জলঢাকা
- মাথাভাঙ্গা থেকে গোসানিমারি [আদাবারি ঘাট ]পর্যন্ত মানসাই নদী নামে পরিচিত।
- আদাবাড়ি ঘাট থেকে বাংলাদেশ সীমান্ত (গীতালদহ) পর্যন্ত এই নদীর নাম সিঙ্গিমারী নদী ।
- বাংলাদেশে এই নদীর নাম হয়েছে ধরলা নদী।
কালজানী নদী
তিস্তা নদী
এটি কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ ও হলদিবাড়ির মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে।
রায়ডাক
- নদীটি ভুটানে ওয়াংছু নামে পরিচিত
- এটি ব্রহ্মপুত্র নদীর একটি উপনদী।
- রাইডাক নদী বাংলাদেশে ব্রহ্মপুত্রের সঙ্গে মিশে গেছে বাংলাদেশের এই অংশে নদীর নাম দুধকুমার।
- তুফানগঞ্জ শহরের পাশ দিয়ে নদীটি বয়ে গেছে।
কোচবিহার প্রশাসনিক বিভাগ
>জেলা প্রশাসক- শ্রী অরবিন্দ কুমার মিনা (IAS)
>কোচবিহার জেলায় মোট ৫টি মহকুমা।
- কোচবিহার সদর
- দিনহাটা
- মাথাভাঙ্গা
- মেখলিগঞ্জ
- তুফানগঞ্জ
কোচবিহার জেলায় মোট 12 টি পঞ্চায়েত সমিতি।
- কোচবিহার এক নং পঞ্চায়েত সমিতি
- কোচবিহার ২ নং পঞ্চায়েত সমিতি
- দিনহাটা ১ নং পঞ্চায়েত সমিত
- দিনহাটা ২ নং পঞ্চায়েত সমিত
- সিতাই পঞ্চায়েত সমিতি
- মাথাভাঙ্গা ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি
- মাথাভাঙ্গা দুই নং পঞ্চায়েত সমিতি
- শীতলকুচি পঞ্চায়েত সমিতি
- তুফানগঞ্জ ১ নং পঞ্চায়েত সমিতি
- তুফানগঞ্জ ২ নং পঞ্চায়েত সমিতি
- মেখলিগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতি
- হলদিবাড়ি পঞ্চায়েত সমিতি
কোচবিহারে মোট পৌরসভার সংখ্যা ৬ টি।
- কোচবিহার পৌরসভা
- দিনহাটা পৌরসভা
- মাথাভাঙ্গা পৌরসভা
- তুফানগঞ্জ পৌরসভা
- হলদিবাড়ি পৌরসভা
- মেখলিগঞ্জ পৌরসভা
কোচবিহারের বিধানসভা কেন্দ্রের তালিকা
- মেখলিগঞ্জ – শ্রী পরেশ চন্দ্র অধিকারী (সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস)
- মাথাভাঙ্গা – শ্রী সুশীল বর্মন (ভারতীয় জনতা পার্টি)
- কোচবিহার উত্তর – শ্রী সুকুমার রায় (ভারতীয় জনতা পার্টি)
- কোচবিহার দক্ষিণ- শ্রী নিখিল রঞ্জন দে (ভারতীয় জনতা পার্টি)
- শীতলকুচি – শ্রী বরেন চন্দ্র বর্মন (ভারতীয় জনতা পার্টি)
- সিতাই- শ্রীমতি রেনুকা বসুনিয়া (সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস)
- দিনহাটা- শ্রী উদয়ন গুহ (সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস)
- নাটাবাড়ি- শ্রী মিহির গোসামী ( ভারতীয় জনতা পার্টি)
- তুফানগঞ্জ- শ্রীমতি মালতী রাভা রায় (ভারতীয় জনতা পার্টি)
কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্রের তালিকা
কোচবিহার জেলা- শ্রী জগদীশ চন্দ্র বর্মা বসুনিয়া (সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস)
To get more details, click here.
To get all tet interview materials, click here.