শিক্ষা সংক্রান্ত সংবিধান
১। সংবিধানের ৪৫ নং ধারায় ১০ বছরের মধ্যে ৬-১৪ বছরের সকল শিশুকে অবৈতনিক ও বাধ্যতামূলক শিক্ষা দেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
২। সংখ্যালঘু মানুষদের জন্য সাংবিধানের ৩০নং ধারায় শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।
৩। তপশিলি জাতি ও উপজাতি শিক্ষা উন্নয়নের জন্য ১৫(৩) নং ধারা ও ৪৬ নং ধারায় শিক্ষার কথা বলা হয়েছে।
৪। তপশিলি জাতি ও উপজাতি শিক্ষা উন্নয়নের জন্য বিখ্যাত কমিটি হল UN. Dhebor এর নেতৃত্বে ‘ধেবর কমিটি’।
৫। ১৫নং ও ১৬(ক) ধারায় নারীশিক্ষার কথা বলা হয়েছে।
৬। কেন্দ্রীয় তালিকায় সাতটি শিক্ষার ধারা হল- ১৩, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫,৬৬, ও ৬৭।
৭। স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন- রাধাকৃষ্ণান কমিশন (১৯৪৮-১৯৪৯) ।
৮। বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠিত হয় ১৯৪৮ সালের ৫ নভেম্বর।
* আমাদের দেশে শিক্ষাব্যবস্থার স্তর হল-
(ক) প্রাক-প্রাথমিক স্তর
(খ) প্রাথমিক স্তর ( প্রাথমিক ও উচ্চ প্রাথমিক)
( গ) মাধ্যমিক (নবম-দশম)
(ঘ) উচ্চ মাধ্যমিক(একাদশ- দ্বাদশ)
(৪) উচ্চ শিক্ষা (মহাবিদ্যালয়, বিশ্ববিদ্যালয়)
কোঠারি কমিশন ও প্রাথমিক শিক্ষা:
*কোঠারি কমিশন ছিল ভারত সরকার কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি অ্যাড–হক কমিশন।
*1964 সালের 14 জুলাই কোঠারি কমিশন গঠিত হয়।
*এটি দৌলত সিং কোঠারির সভাপতিত্বে গঠিত হয়েছিল।
*বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষার বিধান – 6 থেকে 14 বছর বয়সী শিশুদের জন্য বিনামূল্যে এবং বাধ্যতামূলক শিক্ষা প্রদানের সুপারিশ করা হয়েছে।
*ভাষা – কমিশন রাজ্য স্তরে একটি ত্রি–ভাষা সূত্র গ্রহণের সুপারিশ করেছে।
*কোঠারি কমিশন আঞ্চলিক ভাষা, সংস্কৃতের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ভাষা, বিশেষ করে ইংরেজির প্রচারের সুপারিশ করেছিল।
*কোঠারি কমিশনের সুপারিশ অনুসারে জাতীয় স্তরে শিক্ষা ব্যবস্থা 10+2+3 প্যাটার্নে সারিবদ্ধ করা হয়েছিল।
প্রাক-প্রাথমিক-এ শিক্ষার প্রকৃতি-
(ক) নার্সারি (৩-৪ বছর )
খ) কিন্ডারগার্টেন (৪-৫ বছর KG-১, ২)
প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান
শিক্ষা সংক্রান্ত সংবিধান
*ক্রেশ-প্রাথমিক শিক্ষার প্রথম প্রতিষ্ঠান।(0 মাস থেকে 2 ½ বছর বয়সি)। তবে এটি কে চাইল্ড কেয়ার সার্ভিস বা ডে কেয়ারও বলা হয়।
নার্সারি-১৯০৯ খ্রিস্টাব্দে মার্গারেট ম্যাকমিলান ও র্্যাচেল ম্যাকমিলান এই পদ্ধতির সুত্রপাত করেন।
মস্তেসরি বিদ্যালয়-মাদাম মারি মন্ত্রেসরীর নামানুসারে ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে প্রবর্তিত হয় [1907 Casadei bamhini (House for children))।
কিন্ডারগার্টেন-ফ্রয়বেল (১৮০৭) শিশু উদ্যান বা কিন্ডারগার্টেন পদ্ধতি প্রবর্তন করেন।
হান্টার কমিশন (১৮৮২)
*. ২০ জন সদস্য নিয়ে গঠিত
• সভাপতি W. W. Hunter
*. ৩ ফেব্রুয়ারি ১৮৮২ সালে গৃহীত
উদেশ্য–
(১) প্রাথমিক শিক্ষা (৬) নারীশিক্ষা (১৯) মুসলিম শিক্ষা (১৮) অনুন্নত সম্প্রদায়ের শিক্ষার উন্নয়নের জন্য।
স্যাডলার কমিশন (১৯১৭)
*1917 সালে ভারত সরকার কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্যা অধ্যয়ন এবং রিপোর্ট করার জন্য একটি কমিশন নিয়োগ করে।
*হান্টার কমিশন মাধ্যমিক শিক্ষার সমস্যা এবং 1902 সালের ইউনিভার্সিটি কমিশনকে প্রধানত বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার বিভিন্ন দিক সম্পর্কে রিপোর্ট করলেও, স্যাডলার কমিশন স্কুল শিক্ষা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা পর্যন্ত সমগ্র ক্ষেত্র পর্যালোচনা করে।
*চেয়ারম্যান-মাইকেল স্যাডলার
*ভারতীয় সদস্য-আশুতোষ মুখোপাধ্যায়, জিয়াউদ্দিন আহমেদ
*বিদেশি সদ্স্য –ড. গেগোরি হা, Dr. Hatak, Dr. Ramej Murh
সার্জেন্ট কমিটি-১৯৪৪
*. সার্জেন্ট স্কিম ১৯৪৪ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতে যুদ্ধ-পরবর্তী শিক্ষা উন্নয়নের সার্জেন্ট কমিশনের রিপোর্ট নামে পরিচিত, এটি ছিল ২য় বিশ্বযুদ্ধের পরে ১৯৪৪ সালের একটি শিক্ষা সংস্কারকমূলক একটি স্মারকলিপি।
হার্টগ কমিটি-১৯২৯
*.হার্টগ কমিটি 1929 সালে সাইমন কমিশন দ্বারা শিক্ষা সংক্রান্ত একটি প্রতিবেদন তৈরির জন্য ফিলিপ হার্টগের সভাপতিত্বে একটি সহায়ক কমিটি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল । স্কুল ও কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধির ফলে শিক্ষার মান কমে গেছে। হার্টগ কমিটি গঠন করা হয়েছিল শিক্ষাগত উন্নয়নের প্রতিবেদনের জন্য
বুনিয়াদি শিক্ষা / নই তালিম/জাকির হোসেন কমিটি-১৯৩৭ (বুনিয়াদি পাঠক্রম)
শিক্ষা সংক্রান্ত সংবিধান
বুনিয়াদি শিক্ষা বা নই তালিম বলতে কি বোঝেন?
*গান্ধীজীর মতে শিক্ষা হলো শিশুর বা ব্যক্তির দেহ মন ও আত্মার সর্বাঙ্গীণ বিকাশ।
*হরিজন পত্রিকায় এক প্রবন্ধে তিনি শিক্ষা বিষয়ে তার যে মতামত ব্যক্ত করেন তার মূল কথা হলো – সার্বজনীন বাধ্যতামূলক ও অবৈতনিক প্রাথমিক শিক্ষা, ৭ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষাদান, শিক্ষার্থীর সামর্থ ও স্থানীয় চাহিদা অনুযায়ী কর্ম ভিত্তিক শিক্ষার উপর জোর, শুধুমাত্র শিশুদের মধ্যে নয় সব স্তরে মানুষদের শিক্ষায় যোগদান ইত্যাদি। *গান্ধীজীর প্রস্তাবিত এই শিক্ষা পদ্ধতি বুনিয়াদি শিক্ষা বা নইতালিম [New Education]। নামে পরিচিত।
বুনিয়াদি শিক্ষার চারটি স্তর
(এক) প্রাক বুনিয়াদি স্তর -সাত বছর পর্যন্ত।
(দুই) বুনিয়াদি স্তর -৭ থেকে ১৪ বছর পর্যন্ত।
(৩) উত্তর বুনিয়াদি স্তর – ১৪ থেকে ১৮ বছর পর্যন্ত এবং (চার) বয়স্ক শিক্ষা
• বুনিয়াদি শিক্ষার উদ্দেশ্য
১, শিক্ষার্থীর দৈহিক নৈতিক আধ্যাত্মিক জীবনের উন্নতি ঘটিয়ে শিক্ষার্থীর সার্বিক উন্নতি।
২, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও আর্থিক দিক থেকে আদর্শ নাগরিক গঠন।
৩, ভারতীয় সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য কে রক্ষা।
৪, শিক্ষার থেকে প্রাপ্ত জ্ঞান জীবন-জীবিকা সংস্থানের কাজে লাগানো।
ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় আইন -১৯০৪
শিক্ষা সংক্রান্ত সংবিধান
*.স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন- রাধাকৃষ্ণান কমিশন (১৯৪৮-১৯৪১)। – বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা কমিশন
*.সদস্য ১ জন।
*.সভাপতি ড. সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান
ভারতীয় সদস্য
ড. লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়ার
জাকির হোসেন
ড. তারা চাঁদ
ড ড. কে. সিদ্ধান্ত
. মেঘনাদ সাহা
বিদেশি সদস্য
ড. জেমস ডাথা
ড. আর্থর অরগান
মুদালিয়ার কমিশন (১৯৫২-৫৩)
*.মাধ্যমিক শিক্ষার সার্বিক উন্নতির জন্য।
*.সভাপতি-মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. লক্ষ্মণস্বিমী মুদালিয়ার।
*.সদস্য ৯ জন
*.ভারতীয় সদস্য
শ্রীমতী হংস মেহেতা
এস. শ্রী মনি
টি. দাস
জি. দার্টিন/ অনাথ বসু
বিদেশি সদস্য
জন ক্রিস্টি (আমেরিকা)
রবার্ট উইলিয়াম (ইংল্যান্ড)।
কোঠারি কমিশন (১৯৯৪-৬০)
*.১৯৬৪ সালের ১৪ জুলাই নিয়োগ, কাজ শুরু-১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর থেকে ১৯৬৬ সালের ৩১ মার্চ প্রতিবেদন শিরোনাম Education and National Development
ভারতীয় সদস্য
পি. নায়েক
জি. মারেদিন
টি. সেন
মিস, পানানডিকার
ভি. মাথুর
বিদেশি সদস্য
এলভিন (U.K.)
থোরাস (France)
রাজরিভিল (USA)
সমাস্কি (Russia)
মাদাতোখী ইহরী
*.উদ্দেশ্য-প্রাক-শিক্ষা থেকে শুরু করে সর্বোচ্চ স্তর পর্যন্ত শিক্ষার উন্নয়ন।
• INCLUSIVE EDUCATION (অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা)
*.’Education For All ‘বর্তমানে বিশ্বের শিক্ষা জগতের নতুনতম শ্লোগান.
*.২০০০ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে এপ্রিলে World Education Forum এ শিক্ষাকে সবার জন্য ঘোষণা করে বলা হয়েছে যে মূলধারার শিক্ষাব্যবস্থায় সব বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুকে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
ব্যাপক শিক্ষা বা অন্তর্ভুক্তি কাদের জন্য
*২০১৫ সালে জাতীয় শিক্ষানীতিতে Inclusive Education-এর ব্যাপক প্রয়োগ।
(১) যারা বিদ্যালয়ে প্রতিনিয়ত আসে কিন্তু কোনো কারণে বহুল পরিমাণ শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত।
২) যারা বিদ্যালয়ে আসছে না।
(৩) ব্যতিক্রমী শিশু, শারীরিক প্রতিবন্ধী, মানসিক প্রতিবন্ধী, বুদ্ধিদীপ্ত শিশু, সৃজনশীল শিশু প্রভৃতিদের জন্য।
(৪) স্কুল ছুট শিশু।
(৫) দীর্ঘকাল ধরে একই শ্রেণিতে অকৃতকার্যতার কারণে আটকে থাকা শিশু।
অন্তর্ভুক্তি শিক্ষার লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যঃ
(ক) ভারতীয় সংবিধান অনুযায়ী শিক্ষা হল প্রত্যেক নাগরিকের মৌলিক অধিকার। এই অধিকার অনুযায়ি প্রত্যেকটি যথাযথ শিক্ষা দিতে হবে।
(খ) কোন শিশুকে কোন কিছুর অজুহাতে ভর্তি থেকে বঞ্চিত করা যাবে না।
(গ) বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলতে হবে।
(ঘ) বিশেষ অক্ষমতাযুক্ত শিশুকে সাধারণ শিশুদের সঙ্গে একই বিদ্যালয়ে একই সঙ্গে শিক্ষা দেওয়া।
অন্তর্ভুক্তিমূলক শিক্ষা ব্যবস্থার নীতি:
(ক) শ্রেণীকক্ষে প্রতিটি শিশু বিশেষ ভাবে সক্ষম। তাই ব্যক্তিকেন্দ্রীক শিক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে।
(খ) বন্ধুত্বপুর্ণ পরিবেশে সহানুভুতির মাধ্যমে শিশুদের শিক্ষা দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের মধ্যে যাতে ভয়-ভীতি কাজ না করে।
(গ) কেবলমাত্র জ্ঞানমূলক শিক্ষা নয়। একজন শিক্ষক শিক্ষা দেবে উপযুক্ত ও প্রয়োজনীয় তথ্য পরিবেশনের মাধ্যমে বাস্তব জগৎ-এর কথা ভেবে। জ্ঞানমুলক শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তর অভিজ্ঞতা সম্পন্ন শিক্ষাও দিতে হবে। যাতে শিশুর দৈনন্দিন কার্যাবলী করতে সমস্যার সম্মুখীন না হয়।
Padhe Bharat Badhe Bharat – পড়ে ভারত বড়ে ভারত
*. কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এই প্রকল্পের সুচনা করে।
এই প্রকল্পের প্রধান উদ্দেশ্য ছিল–
১। প্রথম শ্রেণি থেকে দ্বিতীয় শ্রেণি পর্যন্ত পঠন, লিখন ও গণিতে সকল শিশুকে দক্ষ করে তোলা।
২। প্রাথমিকভাবে শিশুকে মাতৃভাষার মাধ্যমে শিক্ষা দিতে হবে।
৩। গণিত ও সাহিত্য বিষয়ে শিক্ষার্থীদের দক্ষ করে তোলা এর অন্যতম লক্ষ্য।
* এই প্রকল্পের প্রবক্তা ছিলেন স্মৃতি ইরানি।
*২০১৪ সালের আগস্ট মাসে প্রকল্পটির সূচনা হয়।
• প্রতিবন্ধী শিক্ষা ও জাতীয় শিক্ষা পরিকাঠামো নীতি-২০১৫
দুর্বল শিশু: অঙ্গ প্রতঙ্গের সমস্যা জনিত কারণে কোনো কাজ না করতে পারা।
ভিন্নভাবে অক্ষম শিশু: দুর্বলতার প্রভাবে স্বাভাবিক কাজকর্ম ব্যাহত হওয়াকে বোঝায়।
প্রতিবন্ধী শিশু-দুর্বলতা ও ভিন্নভাবে অক্ষমতার কারণে কাজে বাধার সম্মুখীন হলে তাকে প্রতিবন্ধকতা বলে।
• বেটি বাঁচাও বেটি পড়াও
* মেয়েদের অধিকার রক্ষা, তাদের শিক্ষা ও পুরুষদের সম মর্যাদা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক এই প্রকল্পএর উদ্যোগ নেয়।
প্রকল্প ঘোষণা: ২০১৪ সালের অক্টোবর
প্রকল্পের সূচনা: ২০১৫ সালের ২২ জানুয়ারি হরিয়ানার পানিপথে নরেন্দ্র মোদী হরিয়ানার পানিপথে প্রকল্পটির সূচনা করেন।
লক্ষ্য/উদ্দেশ্য:
১। কন্যাসন্তান কে অভিশাপ হিসাবে না দেখে আশীর্বাদ ভেবে আনন্দের সহিত তাকে গ্রহণ করা।
২। মেয়েদেরকে যৌন হয়রানি, বিভিন্ন নিপীড়ন প্রভৃতির হাত থেকে রক্ষা করা। এবং তাদের শিক্ষাকেও সুনিশ্চিত করা এই প্রকল্পের অন্যতম লক্ষ।
৩। সকল ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা করা।
সাক্ষী মালিক হলেন ব্রান্ড অ্যাম্বাসাডার
To get all interview materials, click here