অন্তর্দৃষ্টি মুলক শিখন

Gestalt Theory of Learning

Notes on gestalt theory

  • যে তিনজনের পরিক্ষার ফলে gestalt তত্ত্বটি গড়ে উঠেছে তারা হলেওন- ওয়ার্দিমার, কফকা, কোহলার
  • এই তিনজন ব্যক্তির মধ্যে কোহলারের তত্বটি আমাদের কাছে গুরুত্বপুর্ণ।
  • অন্তর্দৃষ্টি শিখন সম্পর্কে কোহলার এর দুটি পরিক্ষা রয়েছে- মুরগির পরিক্ষা ও শীম্পাঞ্জির পরিক্ষা।

কোহলারের মুরগির পরিক্ষা- 

  • দুটি একই আকারের কাঠের বাক্সকে তারের জালের সামনে রেখে তার উপর কিছু খাবার ছিটিয়ে দেওয়া হয়; তাআরের জালের যেপাশে বাক্স দুটি আছে তার উল্টোদিকে কয়েকটি মুর্গী  ছাড়া হয়।
  • মুরগী জুলো যখন ধুসর কাগজ লাগানো বাক্সগুলোর কাছে যায়, তখন তারা তার জালির মধ্য দিয়ে মুখ ঢুকিয়ে খাবার খেতে থাকে।
  • কিন্তু মুরগী গুলি যখন সাদা কাগজ লাগানো বাক্স গুলির দিকে যায়, তখন খাওয়ার চেষ্টা করা মাত্রই, বাক্স গুলি সরিয়ে নেওয়া হয়। আবার বাক্সগুলির অবস্থান পরিবর্তন করেও একই রকম পরিবর্তন করা হয়।
  • এই প্রক্রিয়া দুটি ৪০০-৬০০ বার পুনরাবৃত্তি করে কোহলার দেখলেন মুরগিরা ধুসর বাক্স থেকে খাবার সংগ্রহ করছে।
  • পরবর্তীতে কোহলার বাক্স দুটিকে একটি কম কালো ও একটি বেশী কাল কাগজে মুড়ে দেন। এবার তিনি দেখেন যেটি বেশি কালো, অধিকাংশ মুরগিরা সেদিকেই গিয়ে খাদ্য সংগ্রহ করছেন। এথেকে প্রমাণিত হয় যে মুরগির মতো অল্প বুদ্ধি সম্পন্ন প্রাণীও শিখন পরিস্থিতিতে বিভিন্ন অংশের মধ্যে সম্পর্ক খুজে বার করার পর সামগ্রিক ভাবে প্রতিক্রিয়া করে।

কোহলারের শিম্পাঞ্জির পরিক্ষা-

  • কোহলার শিম্পাঞ্জি নিয়ে যে পরিক্ষা করেন তার মধ্যে প্রথমটি ছিল- ক্যানারি দ্বীপপুঞ্জের তেনেরিফ নামে একটি ছোট দ্বয়পে। খাচার মধেয় কাঠের বাক্স এবং খাদ্য নিয়ে। দ্বীতিয় পরিক্ষাটি ছিল- খাচার বাইরে রাখা খাদ্য বস্তু ও খাচার মধ্যে থাকা দু-তুকরো লাঠি নিয়ে এবং যে শিম্পাঞ্জিতি ছিল, তার নাম- সুলতান।
  1. অন্তর্দৃষ্টি শিখন
    • কোহলারের শিম্পাঞ্জির পরিক্ষার সিদ্ধান্ত অনুযায়ি প্রাণির শিখন তার দ্বারা শিখন পরিস্থিতির সামগ্রিক রুপ উপলব্ধির মাধ্যমে হয়ে থাকে। এই সামগ্রিক উপলব্ধি হঠাতই হয়, যাকে বলা হয় অন্তর্দৃষ্টি। সমস্যামুলক পরিস্থিতির পুর্নরুপ শিক্ষার্থীর মনে প্রতিভাত হলে পরিস্থিতির খন্ডাংশের সঙ্গে সম্পুর্ণ সমস্যার তাতপর্য উপলদ্ধি করে যখন শিখন হয় , তখন তাকে অন্তর্দৃষ্টি মুলক শিখন বলে
    • Gestalt মনোবিদ গণ বলেছেন, অন্তর্দৃষ্টী হল শিখনের মুল
    • আর এই অন্তর্দৃষ্টির জন্য প্রয়োজন দুটি প্রক্রিয়া। যথা- i. সামান্যীকরণ, ii. পৃথকীকরণ
  2. আধুনিক শিক্ষার দুটি মুল নীতি-
    • সমগ্রা থেকে অংশের দিকে ( general to particular)
    • মুর্ত থেকে বিমুর্তের দিকে ( concrete to abstaract)
  3. সামগ্রীক প্রত্যক্ষণের কিছু নীতি-
    • বিচ্ছিন্ন করণের নীতি- সংগঠন কে প্রত্যক্ষন করতে হলে প্রথমে মুল সংগঠন থেকে বস্তু গুলিকে বিচ্ছিন্ন করা। যেমন- আকাশ নামক সংগঠন থেকে বস্তু গুলিকে বিভিন্ন তারাদের বিচ্ছিন্ন করে, তারপর সপ্তর্ষিমন্ডল ইত্যাদিকে প্রত্যক্ষ করা।
    • সাদৃশ্যের নীতি- সাদৃশ্য বস্তু বা বিষয় কে আমরা সহজে মনে রাখতে পারি।
    • নৈকট্যের নীতি- সময়ের পরিপ্রেক্ষিতে কাছাকাছি বিশয়গুলি সহজেই শেখা যায়।
    • ধারাবাহিকতার নীতি- ধারাবাহিক ভাবে শিখলে শিখন সহজ হয়।
    • পরিমিতির নীতি- পুর্বাজিত শিখনের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সহজেই শেখা যায়।
  4. সমগ্রবাদিদের শিখন তত্বকে learning বা  insight বলে।
  5. অন্তর্দৃষ্টির কার্যকারিতা নির্ভর করে প্রাণীর কথুলি বৈশিষ্টের উপর। যেমন-
    • মানসিক ক্ষমতা বা বুদ্ধি
    • পুর্ব অভিঞ্জতা
    • শিক্ষ্ণের উদ্দেশ্য সম্পর্কে সঠিক ধারণা
    • শিক্ষার্থীর সক্রিয় অংশগ্রহন।

Notes on gestalt theory

সামানীকরণ-পৃথীকরণ— মৌলিক প্রক্রিয়ায় শিখন পরিস্থিতির মধ্যে যেগুলি অপ্রাসঙ্গিক সেগুলিকে বাতিল করে কেবলমাত্র প্রাসংগিক ও সাধারণ বৈশিষ্ঠ গুলিকে বেছে নেওয়ার নামই হল পৃথকীকরণ। এবং পরে, সাধারণ বৈশিষ্টগুলির উপর ভিত্তি করে সামান্যধর্মী সুত্র তৈরি করার নামই হল সামানীকরণ।

For details information click here.

To get All child psychology notes

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copying content is prohibited