ভাষা শিক্ষণের নীতিসমূহ

ভাষা শিক্ষণের নীতিসমূহ

ভাষা শিক্ষণের নীতিসমূহ

বর্তমানে শিক্ষা পদ্ধতি হল শিশু কেন্দ্রিক শিক্ষা ব্যবস্থা। তাই বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতি পাঠ্যপুস্তক নির্ভর না হয়ে মনস্তাত্ত্বিক নির্ভর হয়ে পড়েছে।

ভাষা শিক্ষণের নীতিসমূহ

>থর্নডাইকের শিক্ষা পদ্ধতিটি প্রচেষ্টা ও ভুল তত্ত্বের উপর প্রতিষ্ঠিত।

>থনডাইকের শিক্ষা তত্ত্বে তিনটি নীতি উল্লেখিত রয়েছে প্রথমত প্রস্তুতির নীতি, দ্বিতীয়ত অভ্যাস ও অনুশীলন নীতি, তৃতীয়ত প্রভাব নীতি

>নতুন ভাষা শিক্ষার ক্ষেত্রে শিশু বারবার শেখা ও পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে ভুল থেকে ধীরে ধীরে সঠিক শেখার দিকে ধাবিত হবে।

ভাষা শিক্ষণের নীতিসমূহ

স্কিনার তার তত্ত্বে ইতিবাচক ,নেতিবাচক, অনুকরণ ও পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে শিশুর মধ্যে কাম্য আচরণ উপস্থাপন করার কথা বলেছেন।

>ইতিবাচক অনুবর্তন– শিক্ষার্থী সঠিকভাবে পড়তে পারলে তার প্রশংসা করা।

>নেতিবাচক অনুবর্তন– শিক্ষার্থী যদি ভুল করে তাহলে তাকে সঠিকটা ধরিয়ে দেওয়া।

>অনুকরণ ও পুনরাবৃত্তির মাধ্যমে তার কোন দক্ষতা বৃদ্ধি করা। যেমন হাতের লেখা সুন্দর করা, কম্পিউটারে টাইপ করা।

>শিক্ষার মধ্যে অবাঞ্ছিত কু অভ্যাস থাকলে তা স্কিনারের ঋণাত্মক অনুবর্তন এর দ্বারা সেটা দূর করা যায়।

প্যভলভ তার তত্ত্বে উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার সম্পর্কের উপর ভিত্তি করে তার ক্লাসিক্যাল কন্ডিশনিং থিওরিটি প্রতিষ্ঠিত করেছেন।

>শিক্ষার্থীদের কোন তথ্য, পড়া বা কবিতা বা কোন চিত্র যদি কোন পরিস্থিতির সঙ্গে সংযুক্ত করে উপস্থাপন করা যায় তাহলে শিশু তা সহজেই মনে রাখতে পারে।

>একটি নির্দিষ্ট শব্দ যদি বারবার শিশুদের সামনে উপস্থাপন করা যায় তাহলে সেটি সে পরবর্তীতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে মনে করতে পারে।

শিশু তখনই কোন বিষয় শিখতে পারে যখন শিশু পুরো বিষয়টি বোঝে এবং প্রত্যেকটি বিষয়ের সঙ্গে সংযোগ স্থাপন করতে পারে।

>শিক্ষার্থীদের কে রোট লার্নিং এর পরিবর্তে তারা যেন বুঝে কোন কিছু শিখতে পারে তার উপর জোর দিতে হবে।

> কোন ভাষা শেখার সময় শিক্ষার্থীকে বাক্যের খন্ড খন্ড শব্দের অর্থ না বুঝিয়ে পুরো বাক্যের অর্থ বুঝিয়ে বলতে হবে।

>ভাষা শিক্ষা যাতে শিক্ষার্থীর বাস্তব জীবনের অভিজ্ঞতার সঙ্গে সংযুক্ত হয় সেটা খেয়াল রাখতে হবে।

>কার্ট লিওন তার তত্ত্বে সদর্থক ও নঞর্থক দুই ধরনের শক্তির কথা বলেছেন।

>সদর্থক শক্তি তার কাজে উৎসাহ প্রদান করে এবং নঞর্থক শক্তি তার কাজে বাধার সৃষ্টি করে।এই দুই ধরনের শক্তির সম্মিলিত ফলে শিশুর শিখন প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়।

>শিশুকে প্রথমে জানা বিষয় উপস্থাপন করতে হবে তারপর ধীরে ধীরে অজানার দিকে নিয়ে যেতে হবে।

>মুর্ত বস্তু শিশু সহজেই বুঝতে পারে তারপর তাকে বিমুর্ত বস্তু উপস্থাপন করতে হবে।

>প্রথমে সমগ্র বিষয় উপস্থাপন করতে হবে তারপর তার খন্ড খন্ড বিষয় (অংশ) নিয়ে বোঝাতে হবে।

>প্রথমে উদাহরণ (বিশেষ ) দিয়ে বোঝাতে হবে তারপর সূত্র (সাধারণ ) উপস্থাপন করতে হবে।

>শিশু সরল বিষয়ে কিছু সহজেই শিখতে পারে। শুরুতেই জটিল বিষয় উপস্থাপন করলে শিশুর শেখার প্রতি অনীহা দেখা দেবে।

>কোন একটি বিষয়কে বিচ্ছিন্নভাবে উপস্থাপন করে তার সমন্বয় শেখানো। যেটাকে আমরা বিশ্লেষণ থেকে সংশ্লেষণ বলি।

ভাষা শিক্ষণের নীতিসমূহ সম্পর্কে বিশদ জানতে Click করুন

To get All bengali pedagogy notes, click here.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copying content is prohibited