প্রাইমারী টেট ইন্টারভিউয়ের জন্য কমন প্রশ্ন

interview question image, প্রাইমারী টেট ইন্টার্ভিউ প্রশ্ন

প্রাইমারী টেট ইন্টার্ভিউ প্রশ্ন-১

প্রাইমারী টেট ইন্টার্ভিউ প্রশ্ন

(এই প্রশ্ন করার মাধ্যমে আপনি আত্মবিশ্বাসী কিনা নিজের সম্পর্কে আপনার কেমন ধারণা আছে আপনার প্রেজেন্টেশান স্কুল কেমন আছে এই সমস্ত বিষয়ে আপনারা দেখতে চান, নিজের সম্পর্কে বলতে গেলে অবশ্যই মনে রাখবে তুমি যা বলছ তা যেন এই শিক্ষক পথ রিলেটেড হয় যা তোমার এই পদের জন্য গ্রহণযোগ্য বা যা তোমার এই পেশাকে আরো উন্নত করতে সাহায্য করে, এমন কিছু বলবেন না  যেটা শিক্ষক পদের জন্য কোন প্রয়োজন নেই।)

নিচে একটু স্যাম্পেল উত্তর দেয়া হলো

আমার নাম XYZ. আমার বাড়ি কোচবিহার জেলার দিনহাটা 2 নং ব্লকের সাহেবগঞ্জ থানার অন্তর্গত (গ্রামের নাম) গ্রামে।

     আমি ২০১২ সালে মাধ্যমিক পাস করেছি WBBSE এর অধীনে (স্কুলের নাম) স্কুল থেকে।

   উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেছি 2014 সালে কলা বিভাগে WBCHSE এর অধীনে (স্কুলের নাম) স্কুল থেকে।

   এরপর ২০১৪-১৬ সেশনে diploma in elementary education অর্থাৎ D.EL.ED ডিগ্রি সম্পূর্ণ করেছি Nigam Nagar Primary Teachers training institute theke. 

     এবং ২০১৯ সালে আমি জিওগ্রাফিতে স্নাতক করেছি COOCHBEHAR panchanan Verma University এর অধীনে cooch Behar college থেকে।

আমার extra curricular activities হিসাবে ( নাচ গান আবৃত্তি আঁকা খেলাধুলা গিটার জিমন্যাস্টিক) দক্ষতা আছে। 

   আমার হবি (বই পড়া, গার্ডেনিং)

বর্তমানে আমি পড়াশোনার পাশাপাশি অমুক কাজের সঙ্গে যুক্ত আছি বা অন্য কোন সরকারি কাজে যুক্ত থাকলে বলতে হবে। ধন্যবাদ।

শুরু থেকেই শিক্ষকতা পেশাকে একটি মহান পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। একজন শিক্ষকই পারেন একজন মানুষের জীবনে পরিবর্তন ঘটাতে। ছোটবেলা থেকেই আমি আমার শিক্ষকদের থেকে অনেক কিছু শিখেছি ।তাদের দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়েছি কিভাবে তারা শিক্ষার্থীদের পড়াশোনার পাশাপাশি মূল্যবোধ এবং সমাজের প্রতি দায়বদ্ধতা গড়ে তোলেন ।ওনাদের এই সমাজসেবা মূলক কাজের প্রতি অনুপ্রাণিত হয়ে আমারও শিক্ষক হওয়ার ইচ্ছে আমার হৃদয়ে গেঁথে যায়।  আমি এই দায়িত্ব পালনে আগ্রহী কারণ আমি নিজেও সমাজের উন্নতির জন্য কিছু অবদান রেখে যেতে চাই এই জন্য আমি একজন শিক্ষক হয়ে সমাজসেবার কাজে নিযুক্ত হতে চাই।

∆ আপনি কেন প্রাথমিকে শিক্ষকতা করতে চান?

শুরু থেকেই শিক্ষকতা বিষয়টি একটি মহান পেশা হিসেবে বিবেচিত হয়েছে। একজন বাবা-মা আমাদের জন্মদিন ঠিকই কিন্তু মানুষ করেন একজন শিক্ষক। আর সেই মানুষ হওয়ার শুরুটা হয় একজন সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকের হাত ধরে। এই সময় শিশুর মন থাকে নরম কাদামাটির মত আপনি নিজের ইচ্ছেমতো যে কোন ধাঁচে ফেলে তাকে মানুষ করতে পারব। এখানে মাটির সাথে মিশে গিয়ে মানুষকে শিক্ষা দেওয়া হয়। শিশুদের ভবিষ্যতের বীজ বুনে দেবার কাজ ক্লাস ফাইভ পর্যন্ত এই সহকারী প্রাথমিক শিক্ষকরাই করে থাকেন। আর সেই সুযোগটা নিয়েই সমাজের উন্নতি বা সমাজের কারিগর হয়ে কিছু অবদান রেখে যেতে চাই।

একজন আদর্শ শিক্ষকের ভূমিকা একজন শিক্ষার্থীর জীবনে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব বিস্তার করে। তিনি তাদের পাঠ্য বিষয় শেখার পাশাপাশি তাদের চরিত্র, মনোভাব এবং দক্ষতা বিকাশেও সাহায্য করেন। কাজেই শিক্ষার্থীর পরিপূর্ণ বিকাশে একজন শিক্ষকের মধ্যে যে গুণাবলী থাকা প্রয়োজন সেগুলি নিম্নে আলোচনা করা হলো।- 

১. শিক্ষক এমন হবেন যাতে ওনাকে ছাত্র-ছাত্রীরা অনুকরণ করতে পারে।

২. শিক্ষককে অবশ্যই সময় সম্পর্কে ওয়াকিবহল থাকতে হবে। 

৩. পাঠ্য বিষয় সম্পর্কে যথেষ্ট জ্ঞান থাকতে হবে। 

৪. ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে শিক্ষকের বন্ধুত্বসুলভ মনোভাব গড়ে তুলতে হবে। 

৫. শিক্ষকের সৎ ও ন্যায়পরায়ণ হতে হবে।

৬. এক কথায় ছাত্র- ছাত্রীদের কাছে শিক্ষক হবেন friend, guide and philosopher.

পাঠক্রম হল একটি পরিকল্পনা যা শিক্ষার লক্ষ্যমাত্রা নির্দিষ্ট করে। এখানে শিক্ষার্থীদের শেখানো বিষয়,  শিক্ষণ পদ্ধতি, মূল্যায়ন পদ্ধতি প্রভৃতি অন্তর্ভুক্ত থাকে।

 পক্ষান্তরে পাঠ্যক্রমের অন্তর্ভুক্ত বিভিন্ন বিষয়ের নির্ধারিত পাঠ্যতালিকাকে ‘পাঠ্যসূচী’ বলে অভিহিত করা যায়।

কারণ বিভিন্ন বয়সের শিক্ষার্থীদের শিখন ক্ষমতা, মানসিক ও শারীরিক অবস্থা বিভিন্ন রকমের হয়। তাই এই বৈশিষ্ট্য গুলিকে মাথায় রেখে পাঠক্রম তৈরি করতে গেলে পাঠক্রম বিভিন্ন রকমের হয়।

প্রাইমারী টেট ইন্টার্ভিউ প্রশ্ন

শিক্ষা ক্ষেত্রে পাঠক্রমের প্রয়োজনীয়তা গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষার্থীকে কি কি পাঠ করাতে হবে এবং কিভাবে পাঠদান করাতে হবে সেগুলি উল্লেখিত থাকে পাঠক্রমে আর পাঠক্রম যদি না থাকে তাহলে শিক্ষার্থীর শিক্ষা দিশাহীন হয়ে যাবে কাজেই উপযুক্ত ও লক্ষ মাত্রিক শিক্ষা দিতে পাঠক্রম প্রয়োজনীয়।

যে সমস্ত বিষয় শিক্ষার্থীর পড়াশোনা সঙ্গে যুক্ত নয় কিন্তু শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশে যে সমস্ত বিষয়ের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে সেগুলোই হলো সহপাঠ্যক্রমিক কার্যাবলী। যেমন খেলাধুলা, নাচ, গান, আবৃতি ইত্যাদি।

শৃঙ্খলতা শিক্ষার্থীর উত্তম অভ্যাস গঠনে সহায়ক। সুশৃংখলভাবে ভাবে শিখলে কোন কিছু সহজে শেখা যায়। শিক্ষার্থীরা যদি সুশৃংখল হয় তাহলে বিদ্যালয় সুশৃংখল হবে এবং বিদ্যালয়ের পরিবেশটি আদর্শ বিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত হবে। সর্বশেষে একটি সুশৃংখল পরিবেশ শিক্ষার্থীরা ভবিষ্যৎ গঠনের একটি সদর্থক পরিবেশ।

আধুনিক শিক্ষাকে তিমেরু বলার কারণ হলো শিক্ষার তিনটি মূল উপাদান রয়েছে যথা শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও বিদ্যালয়।

এই তিনটি উপাদানের পারস্পরিক মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে শিক্ষা কার্যটি সম্পন্ন হয়।

উপযুক্ত বিদ্যালয় পরিবেশ যথা সমাজ, ক্লাস রুম, পাঠ্য বিষয় প্রভৃতি বিষয়কে শিক্ষার্থীর চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষাকে উপযোগী করে একজন শিক্ষক শিশুর ব্যক্তিসত্তাকে পরিপূর্ণতার দিকে এগিয়ে নিয়ে যান।

এজন্যই বর্তমানের শিক্ষাকে ত্রিমেরু প্রক্রিয়া বলা হয়।

শিক্ষার্থীদের জীবিকা অর্জনের জন্য হাতে-কলমে যে শিক্ষা দেওয়া হয় ।

সেই শিক্ষাকে  বলা হয় বৃত্তিমূলক শিক্ষা। যেমন গান্ধীজীর বুনিয়াদি শিক্ষা বৃত্তিমূলক শিক্ষার অন্তর্গত।

এটি এমন একটা পরিস্থিতি যা সমাজের মানুষের স্বাভাবিক জীবন যাপন, মূল্যবোধ এবং সম্পর্কের উপর একটি নেতিবাচক প্রভাব পড়ে।

এটি সমাজের মানুষের জন্য ক্ষতিকর। যেগুলি হল দারিদ্র্য, বেকারত্ব, নারী নির্যাতন, বিভিন্ন অপরাধ মূলক কার্যকলাপ।

প্রাইমারী টেট ইন্টার্ভিউ প্রশ্ন

এটি মূলত সামাজিক ও সাংস্কৃতিক কারণে সৃষ্টি হয়েছে।  সমাজের মতে পুরুষরা হচ্ছে বংশের প্রদীপ এবং বৃদ্ধ বয়সে পিতা মাতারা পুত্রের উপর নির্ভরশীল হয়।  এছাড়া অর্থনৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে পুত্ররা পরিবারের কাজে সাহায্য করে কিন্তু যেখানে কন্যাকে অন্য পরিবারের অংশ হিসেবে দেখা হয়। কিন্তু বর্তমানে এই ধারণা পরিবর্তন হচ্ছে । নারী শিক্ষা, নারীর অধিকার ও পুরুষদের সমান মর্যাদা দিয়ে  সমাজের ধারণা পরিবর্তন করা হচ্ছে।

এটি মানুষের মধ্যে সহানুভুতি, সততা, সৎ ও শ্রদ্ধাশীল মনভাব গড়ে তুলতে সাহায্য করে ও উন্নত চরিত্র গঠনে সাহায্য করে। সামাজিক অশান্তি ও অবিচার কমাতে সাহায্য করে। মানুষ যখন নৈতিকতা কে প্রাধান্য দিয়ে কাজ করে তখন সামাজিক সম্পর্ক ও পরিবেষ সুস্থ থাকে। নৈতিক শিক্ষা মানুষকে তার দায়িত্ব বুঝতে ও সমাজের প্রতি তার দায়বোদ্ধতা বোঝাতে সাহায্য করে।

এটি হল দেশের নাগরিক দের জন্য নির্ধারিত একটি শিক্ষা ব্যবস্থা যা দেশের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক প্রয়োজন অনুযায়ি গড়ে তোলা হয়। জনগণের শৃঙ্খলা, উন্নয়ন ও জাতিয় চেতনা জাগানোই হল এর মুল উদ্দেশ্য

পাঠ পরিকল্পনা শিক্ষাদান কার্যক্রম কে সংগঠিত, সুপরিকল্পিত এবং ফলপ্রসূ করতে সাহায্য করে। পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষাদানের লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়, ক্লাসরুমের সময় ব্যবস্থাপনা নির্দিষ্ট করা হয়,  শিক্ষার্থীদের প্রয়োজন অনুসারে পাঠের উপস্থাপন করা হয় ,  শিক্ষক এবং শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নিশ্চিত করে। এছাড়াও ভিন্ন ভিন্ন শিক্ষণ কৌশল গুলি পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রয়োগ করা হয় ও শ্রেণীকক্ষ পরিচালনার কাজ সহজ হয়।

পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকের যাচাই ও মূল্যায়ন করা হয়। এর মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান দক্ষতা এবং উন্নতি পর্যালোচনা করা সম্ভব হয়। 

এছাড়াও পরীক্ষার প্রয়োজনীয়তা নিচে আলোচনা করা হলো:

  1. শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতা পরিমাপ করা যায়- শিক্ষকরা শিক্ষার্থীদের অর্জিত জ্ঞান এবং শিক্ষার স্তর সম্পর্কে বুঝতে পারে 
  2. পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থীর ত্রুটি নির্ণয় করা যায়। 
  3. শিক্ষার মান উন্নয়নে পরীক্ষা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
  4. শিক্ষার্থীর মূল্যায়নের একটি অন্যতম উপায় হল পরীক্ষা পদ্ধতি। 
  5. শিক্ষার্থীর সর্বাঙ্গীন বিকাশ পরিমাপ করা হয়। 
  6. শিক্ষার্থীদের জন্য প্রেরণা হিসেবে কাজ করে কারণ তারা একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্য অর্জনের জন্য পড়াশোনা করে

নিরক্ষরতা হল এমন একটি পরিস্থিতি যেখানে  ব্যক্তি সাধারণত লিখতে, পড়তে বা  গাণিতিক হিসাব করতে অক্ষম থাকে। এটি শুধুমাত্র গণনা ও লেখাপড়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় এটি ব্যক্তির গ্রহণ ক্ষমতাও কমিয়ে দেয়। যার কারনে ব্যক্তি প্রয়োজনীয় জ্ঞান এবং তথ্য গ্রহণ করতে পারে না যার ফলে ব্যক্তির বা সমাজের সার্বিক উন্নয়নকে বাধাগ্রস্থ করে। নিরক্ষরতার প্রভাবে ব্যক্তির অর্থনৈতিক ক্ষতি, সামাজে বিচ্ছিন্নতা এবং বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য সমস্যার সম্মুখীন হয়।

To Get more details , click here

To get all interview materials click here.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Copying content is prohibited